স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশালের গৌরনদী পৌর সদরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে পেটে জোড়া লাগানো জমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে তাদের হাত, পা মুখ মাথা আলাদা ও স্বাভাবিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদীর ময়ূরী ক্লিনিকের চিকিৎসক তানজিদ রহমান জানান, বুধবার দুপুরে সফল অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তিনি জোড়া লাগানো জমজ শিশু ভূমিষ্ঠ করান। তবে গৌরনদীতে শিশু দু’জনের সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার শঙ্কায় সন্ধ্যায় তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে জন্মের পর থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে এগারোটা) নবজাতক দু’শিশুই সুস্থ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের পিতা আবু জাফর। নবজাতকের পিতা আবু জাফর জানান, শিশুদ্বয়ের সাথে সাথে সিজারিয়ানের পর আমার স্ত্রী হালিমা বেগমও সুস্থ্য রয়েছেন। তবে গৌরনদীতে জোড়া লাগানো জমজ শিশু দু’জনের সঠিক চিকিৎসা হবেনা বলে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শেবাচিম হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক সৌরভ জানান, ভর্তি হওয়া নবজাতক দু’জন এখন পর্যন্ত সুস্থ্য রয়েছে। অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশু দেশে আলাদা করা হয়। তবে বরিশালে এ ধরণের অপারেশন হয় না, এজন্য শিশু দু’টিকে ঢাকায় নিতে হবে। শেবাচিমে বিগত তিন বছরের মধ্যে এমন নবজাতক এই প্রথম ভর্তি করার দাবি করে ডাঃ সৌরভ বলেন, শীঘ্রই শিশুদ্বয়কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। নবজাতকের পিতা আবু জাফর জানান, তাদের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর গ্রামে। তার সংসারে আরও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি পুরান ঢাকায় মুদি দোকান চালাতেন। কিন্তু করোনার কারণে ক্রেতা কমে যাওয়া এবং ক্রেতারা পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় তার মুদি দোকান বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় ভ্যানগাড়ি চালিয়ে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করছেন। আবু জাফর আরও বলেন, ভূমিষ্ঠ হওয়ার আমার সন্তান দুটি বাঁচাতে হলে অপারেশন করাতে হবে। এই অপারেশন ব্যয়বহুল বলে শুনেছি। আমার একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এজন্য মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply